শিক্ষার্থীদের জন্য মেডিটেশন

আমরা প্রত্যেকেই দৈনন্দিন জীবনে অত্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করি। মানুষের জীবন যত আধুনিক হচ্ছে তত আমরা নিজেদের প্রতি কম কিন্তু অন্যান্য বিষয় নিয়ে ব্যস্ত থাকছি। এভাবে আমাদের মস্তিষ্ক আস্তে আস্তে ধীর হয়ে যাচ্ছে। যেকোন কিছুর সচল ভাবে চলার জন্য তার আলাদা করে যত্ন দরকার। মস্তিষ্কেরও তেমনি যত্নের দরকার। মস্তিষ্ককে যতটা চমৎকার ভাবে আমরা পরিচালনা করতে পারবো মানুষ ততটাই ক্ষমতার আঁধার হতে পারবে।

পেশির শক্তি বাড়ানোর আশায় অনেকে ভারোত্তোলন সহ নানা ধরনের শরীরচর্চা করে থাকেন। গবেষণায় দেখা গেছে, এতে পেশির কোষগুলোর মধ্যে এক ধরনের রাসায়নিক ও বৈদ্যুতিক আন্তঃপারস্পরিক যোগাযোগের সৃষ্টি হয়। ফলে পেশিতন্তুর সংখ্যা বৃদ্ধি পায় এবং পেশি হয়ে ওঠে অধিকতর শক্তিশালী ও মজবুত। বিজ্ঞানীরা বলছেন, মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতাও একইভাবে বাড়ানো সম্ভব। মস্তিষ্কের কোষ অর্থাৎ নিউরনগুলোর মধ্যকার আন্তঃপারস্পরিক সংযোগ বাড়িয়ে। এতে মস্তিষ্কের সম্ভাবনা বাড়ে বহুগুণ। গবেষকদের মতে, এর অন্যতম উপায় হলো মেডিটেশন বা ধ্যান। যার মাধ্যমে মস্তিষ্ককে বেশি পরিমাণে ব্যবহার করে আমরা হয়ে উঠতে পারি আরো চৌকস, আরো সৃজনশীল আর নানা গুণের অধিকারী।

  • মেডিটেশন বিষণ্ণতায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ৩১ শতাংশ কমিয়ে দেয়। তাই পড়াশোনার পাশাপাশি ছাত্রছাত্রীদের প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ মিনিট মেডিটেশন করা উচিত। যেহেতু বর্তমান সময়ে শারীরিক সুস্বাস্থ্যের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি খেয়াল রাখা সমান ভাবে জরুরী। আর পড়াশোনায় ভালো করার পূর্ব শর্ত হচ্ছে সুস্থতা।
  • এটি মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। যার ফলে আইকিউ লেভেল বৃদ্ধি পায়। নিয়মিত চর্চায় স্মৃতিশক্তি, চিন্তাশক্তি ও নতুন কিছু শেখার ক্ষমতা অনেকাংশে উন্নত হয়।
  • অনেকেই পড়াশোনার চাপে ক্লান্ত বোধ করো। এই ক্লান্তি দূর করতে মেডিটেশন খুবই কার্যকরী। মেডিটেশনের ফলে মস্তিষ্কের একটি অংশের কোষের ভলিউম হ্রাস পায়। এর ফলে মানুষের ভয়, উদ্বেগ ও হতাশা হ্রাস পাবে। এছাড়াও মেডিটেশন মস্তিষ্কের আলফা ওয়েভের নিঃসরণ বৃদ্ধি করে । যা দুশ্চিন্তা, দুঃখ ও রাগের মতো অনুভূতিগুলো কমিয়ে আনতে সাহায্য করে।
  • মনোযোগ বাড়াতে সাহায্য করতে পারে মেডিটেশন। প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ মিনিট মেডিটেশন করলে তোমার মনোযোগ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করতে পারবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back To Top