কোভিড – ১৯ এর আক্রমণে শিক্ষার্থীরা আজ ঘরে বন্দি। স্বাভাবিক ভাবেই তারা অন্যান্য সময়ের থেকে অনেক বেশি অস্থির। এমন মানসিক অবস্থায় তাদের হাতে পর্যাপ্ত সময় থাকার পরও তারা না পারছে মানসিকভাবে চাঙ্গা হতে, না পারছে তাদের পড়ালেখায় মনোযোগ দিতে। এমন সময়ে শিক্ষার্থীরা তাদের অবসর সময়কে অসাধারন কিছু পদ্ধতিতে কাজে লাগাতে পারে।
- অনেক শিক্ষার্থী প্রতিদিনকার পড়ালেখার চাপে গল্পের বই বা একাডেমিক বইয়ের বাইরের বই পড়ার অভ্যাস হারিয়ে ফেলে। এই অভ্যাস ফিরিয়ে আনার জন্য ঘরে বসে কাটানোর এই সময়গুলোর থেকে ভালো আর কোনো কিছু হতেই পারেনা। গল্পের বই পড়ার মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থীর যে শুধু অবসর সময়ই কাটবে তা নয় বরং তার চিন্তা শক্তির পরিধি বৃদ্ধি পাবে। সে পৃথিবীকে নতুন ভাবে জানতে পারবে। সে তার সৃজনশীলতা বাড়াতে পারবে।
- প্রতিটি মানুষের একটি নিজস্ব পছন্দের জায়গা থাকে। সময়ের বেড়াজালে সেই ইচ্ছাগুলো আর ঝালাই করে নেয়া হয় না। বাগান করা, সেলাই করা, গান গাওয়া, ছবি আঁকা, গিটার বাজানো ও রান্না করা এই সবকিছুই শিক্ষার্থীরা আকর্ষণ ভেদে প্র্যাকটিস করতে পারে।
- সিনেমা মানুষকে নতুন জগতের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। আমাদের সমাজ কেমন কিন্তু কেমন হওয়া উচিত ছিল এ সবই আপনাকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে সক্ষম একটি ভালো সিনেমা। আমরা প্রতিনিয়ত আমাদের চারপাশে যা কিছু চলে তাই স্বাভাবিক বলে ধরে নেই কিন্তু হতে পারে অস্বাভাবিককেই আমাদের কাছে সাধারণ। যেমনঃ সত্যজিতের আগন্তুক, মৃণাল সেনের ইন্টারভিউ এ ধরনের সিনেমা।