জলদি শেখার উপায়!

আপনার ভার্সিটি লাইফ শেষ মানেই কিন্তু এটি না যে আপনি শিক্ষাজীবন থেকে মুক্ত। চাকুরীর জীবনে প্রবেশ করার পরও আপনাকে সবসময়ই কিছু না কিছু শেখার সাথে যুক্ত থাকতে হবে। তাই শিক্ষাজীবন শেষ মানেই পড়ালেখা থেকে মুক্তি নয়। এতে চিন্তিত হবার বা ভয় পাওয়ার কিছু নেই। শুধু পাঁচটি বিষয় মেনে চললে খুব সহজেই আপনি এই দিকটি মানিয়ে নিতে পারবেন।

১। রুটিন বানিয়ে নিন

আপনার কাজের ব্যাপারে হোক কিংবা পড়াশুনা চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে, আপনাকে প্রতিটি কাজের সময়সীমা নির্ধারণ করতে হবে। আপনি শিক্ষার্থী হলে আগেই ঠিক করে নিন যে কবে কোন বিষয়টি পড়বেন এবং ঠিক কতদিনের মাঝে আপনি এই পড়া শেষ করবেন।

২। শেখার জন্য শিখুন

আপনার শেখার উদ্দেশ্য যেন মুখস্ত কিংবা শুধু পরীক্ষায় পাশ করে যাওয়া না হয়। আপনি যখন কিছু না বুঝে শুধু মুখস্ত করে যাবেন তখন তা শুধু কিছু সময়ের জন্য আপনার স্মৃতিতে থাকবে। আর অন্যদিকে আপনি যখন বিষয়টি সম্পর্কে জানবেন এবং বুঝে পড়বেন তা সারাজীবনের জন্য আপনার মনে থাকবে। তাই সারাদিন বসে শুধু পড়া আওড়ে যাওয়া নয় বরং দুই ঘন্টা সময় নিয়ে সম্পূর্ণ বুঝে পড়ুন।

৩। অনেক উৎস থেকে পড়ুন

বর্তমান সময়ে যে কোন তথ্য অনেক বেশি সহজলভ্য। গুগুলেই আপনি পেয়ে যাবেন একটি বিষয়ের উপর হরেক রকম তথ্য। তাই যে কোন নির্দিষ্ট উৎস থেকে না পড়ে বিভিন্ন জায়গা থেকে তথ্য সংগ্রহ করে নিজে নোট করুন। তা অনেক বেশি মনে থাকবে।

৪। অভিজ্ঞ মানুষের কাছ থেকে জানুন

যে কোনো পরীক্ষায় অবতীর্ণ হওয়ার আগে এমন কারো সাথে কথা বলুন যে আপনাকে ভালো পরামর্শ দিতে পারবে। আপনার লক্ষ্য আছে অবশ্যই। সেই লক্ষ্য অনুযায়ী বর্তমানে কে আছে সেই পর্যায়ে, তার যাত্রাটা সম্পর্কে জানুন। কি কি করলে ভালো করা যায় এবং কি কি পদ্ধতি অবলম্বন করলে নিজেকে তার অবস্থানে দেখতে পাবেন।

৫। সুস্থ থাকুন

আপনি জীবনে যে পর্যায়েই যেতে চান না কেন, সেজন্য আপনাকে সুস্থ থাকতে হবে। সুস্থতা ছাড়া আপনি কখনোই আপনার নিজস্ব লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবেন না। নিজের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে সচেতন হন। প্রতিনিয়ত শরীরচর্চা করুন এবং সঠিক খাবার খান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back To Top