‘পাওয়ার ন্যাপ’ আমাদের শরীর-মনের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী!
ঘুম বিশেষজ্ঞ এবং ‘Take a nap, Change your life’ এর লেখক, সারা মেডনিক, পিএইচডি, বলেছেন “আপনি ‘পাওয়ার ন্যাপ’ থেকে অবিশ্বাস্য উপকারিতা পেতে পারেন,” সে বলে, ” ‘পাওয়ার ন্যাপ’ শরীরের সিস্টেমটি পুনরায় সেট করে, সজাগতা এবং কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে, বেশিরভাগ মানুষেরই নিদ্রাহীনতা থেকে মুক্তি এবং কর্মশক্তি বাড়াতে প্রয়োজন পাওয়ার ন্যাপ”।
শিক্ষার্থীরা খুব কমই যথেষ্ট ঘুম পায়। শিক্ষার্থীদের শক্তি পূরণের একটি উপায় হল ‘পাওয়ার ন্যাপ’ নেওয়া। শিক্ষার্থীদের মধ্যে জীবনের উন্নত মানের জন্য প্রতিদিন ‘পাওয়ার ন্যাপ’ নেওয়ার প্রভাব সম্পর্কে তথ্য পেতে একটি সমীক্ষা চালানো হয়। এই অধ্যয়নের উদ্দেশ্য ছিল দৈনিক ‘পাওয়ার ন্যাপ’ নেওয়ার বিষয়ে শিক্ষার্থীদের ধারণার সন্ধান করা। তা ছাড়া, গবেষণায় ঘুমের ধরণ, ঘুমের সচেতনতা, মনোযোগ এবং শিক্ষার্থীদের সতর্কতার দিক গুলো উঠে আসে।একাধিক গবেষণায় সামনে এসেছে ‘পাওয়ার ন্যাপের্’ বেশ কয়েকটি উপকারিতা। সেগুলি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক –
১) একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ঘুম কম হলে আমাদের শরীরে কর্টিসোল হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। এই হরমোনর প্রভাবে বেড়ে যায় মানসিক চাপ। দিনের বেলা অল্প সময়ের জন্য হলেও এই ভাত-ঘুম বা ‘ন্যাপ’ আমাদের শরীরে সক্রিয় কর্টিসলের ক্ষরণ কমাতে সাহায্য করে। ফলে মানসিক চাপ কমে যায়।
২) স্কুলে হোক বা বাড়িতে, যেখানে যে কাজ করছেন, সে কাজেই প্রয়োজন মনসংযোগ আর সজাগ দৃষ্টির। একটি মার্কিন গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, ৪০ মিনিটের ‘ন্যাপ’ যে কোনও কাজেই আমাদের ১০০ শতাংশ সজাগ আর সতেজ করে তোলে। গবেষকদের দাবি, শরীর চাঙ্গা আর তরতাজা রাখতে প্রতিদিন অন্তত ২০ মিনিটের ‘ন্যাপ’ প্রয়োজন।
৩) একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, প্রতিদিন অন্তত ২০ মিনিটের ‘ন্যাপ’ আমাদের স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
৪) কাজের ফাঁকে মিনিট কুড়ির ‘ন্যাপ’ আমাদের পঞ্চ ইন্দ্রিয়কে আরও সজাগ, সক্রিয় করে তোলে। এর ফলে কাজ করার ক্ষমতা বেড়ে যায় আর কাজের মানও উন্নত হয়।
৫) বিশেষজ্ঞদের মতে, কাজের ফাঁকে অন্তত মিনিট কুড়ির ‘ন্যাপ’ সৃজনশীলতা বাড়াতে সাহায্য করে।
উন্নত মানের জীবনের জন্য ‘পাওয়ার ন্যাপিংয়ের’ অনেকগুলি প্রভাব রয়েছে। শারীরিক ও স্বাস্থ্য শিক্ষার বেশিরভাগ শিক্ষার্থী একমত হয়েছেন যে ‘পাওয়ার ন্যাপিংয়ের’ ফলে সজাগতা এবং কর্মক্ষমতার বৃদ্ধি হয়।