স্বাস্থ্য সচেতন বেশিরভাগ মানুষই আজকাল নির্ভর হয়ে পড়েছে গ্রিন টি এর উপর। একে তো এটি অতিরিক্ত ওজন কমাতে সহায়ক, তাছাড়া এর মধ্যে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট আছে, নিয়মিত খেলে শরীরের ভেতর থেকে দূষিত পদার্থ বের করে দিয়ে শুদ্ধ করে এবং এই চা পানের ফলে চিনি সম্পূর্ণভাবে পরিহার করা যায়। তাই আজকাল মানুষের চা পানের তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছে গ্রিন টি। তবে এর উপকার ও অপকার দুটোই রয়েছে। যার ফলে গ্রিন টি এর উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে প্রচলিত রয়েছে নানা ধরনের সত্য মিথ্যা। বিজ্ঞানভিত্তিক ভাবে গ্রিন টি এর যে সকল উপকারিতা ও অপকারিতা রয়েছে তা জেনে নেয়া যাক –
উপকারিতা –
- গ্রিন টিতে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট, যা সব দিক থেকে শরীর ও মনকে ভালো রাখে
- রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
- ক্যানসার প্রতিরোধ করে
- উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ইত্যাদি রোগ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
- এছাড়া গ্রিন টি তে রয়েছে ক্যাটেচিন নামের এমন এক উপাদান, যা ভিটামিন ‘সি’ এবং ‘ই’ এর থেকেও অনেক বেশি কার্যকরী
- ওজন কমাতে সহায়ক
- হজম প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে শরীরের অতিরিক্ত মেদ ঝড়িয়ে ফেলে
- গ্রিন টির মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট, ভিটামিন এ, বি, বি৫, ডি, ই, সি, ই, এইচ সেলেনিয়াম, ক্রোমিয়াম, জিংক, ম্যাঙ্গানিজ ও সামান্য ক্যাফেইন
- ক্যাটেচিন ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে ও লালা ক্ষারীয় পরিমাণ বৃদ্ধি করে, যার ফলে মুখের দূর্গন্ধ দূর হয় এবং দাঁত সুস্থ থাকে
অপকারিতাঃ
- যাদের রক্তস্বল্পতা রয়েছে তাদের জন্য গ্রিন টি ক্ষতির কারন হতে পারে
- হিমোগ্লোবিন কমিয়ে দেয়
- গর্ভবতী নারীর ক্ষতি করতে পারে
- অতিরিক্ত পান ইনসোমনিয়ার কারন হতে পারে
গ্রিন টি উপকারী হলেও তা কখনোই দিনে তিন থেকে চার বারের বেশি হওয়া উচিত নয়। এই ভেষজ চা পানের উপযুক্ত সময়গুলো হচ্ছে
- সকালে নাস্তা খাওয়ার এক ঘন্টা পর
- ব্যায়াম শুরুর পূর্বে
- বিকালে
- ঘুমানোর অন্তত দুই ঘন্টা পূর্বে