‘Pomodoro’ টেকনিক: আজি বাড়াও তোমার কর্মদক্ষতা!

পমোডোরো টেকনিক একটি টাইম ম্যানেজমেন্ট টুল। অল্প সময়ে, স্বল্প পরিশ্রমে বেশি ফল পাওয়ার জন্য দারুন একটি পদ্ধতি। যারা বলে থাকে তাদের হাতে একদম সময় নেই, খুব বাস্ত আছি, নতুন কিছু শিখার কোন সময় নেই।তাদের জন্য এটি খুব কার্যকরী একটি উপায়।

আশির দশকে Francesco Cirillo নামে একজন সাধারন ছাত্র ছিল। সে সারাদিন পড়াশুনা করতে চাইত। কিন্ত পড়াতে ঠিকমত মনোযোগ দিতে পারত না। পড়তে বসার কিছুক্ষন পরেই বিরক্ত হয়ে পড়ত। এতে তার রেজাল্টও অনেক খারাপ হচ্ছিল। কিন্ত সে ছিল নাছোড়বান্দা। তাই অনেক চিন্তাভাবনা করে সে একটা নতুন টেকনিক আবিস্কার করল এবং সেটার নাম দিল ‘Pomodoro Technique’। পোমোডোরো ইটালিয়ান শব্দ যার বাংলা অর্থ হচ্ছে টমেটো। সে তার পুরো সময়কে অনেক গুলো পোমোডোরোতে ভাগ করে নিল। প্রতিটা পোমোডোরো ছিল ত্রিশ মিনিট করে যার মধ্যে প্রথম পঁচিশ মিনিট মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্যে এবং বাকি পাঁচ মিনিট ছিল বিশ্রামের জন্যে।

কেন পমোডরো এতো জনপ্রিয়-

১) অখন্ড মনোযোগ ধরে রাখে  

২) সময় বাঁচাতে সাহায্য করে

৩) ক্লান্তি দূর করে 

৪) সময়ের সাথে দৌড়ে নয়, তাল মিলিয়ে কাজ করা

পোমোডরো টেকনিক আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কিভাবে প্রয়োগ করবো জেনে নেই :

১. আপনার পুরো পড়ার সময়কে পোমোডোরোতে ভাগ করে নিন। প্রতিটা পোমোডোরো ত্রিশ মিনিট হবে যার মধ্যে পচিশ মিনিট মনোযোগ দিয়ে পড়া আর বাকি পাচ মিনিট বিশ্রাম।

২. একটা পোমোডোরো শুরু করার পর কোনভাবেই তা বন্ধ করা যাবেনা।

৩. পোমোডোরোর মাঝে পড়াশুনা ছাড়া অন্যকিছু করা যাবেনা ।যেমনঃ ফেইসবুক,ইউটিউব এগুলো কোনভাবেই ব্যবহার করা যাবেনা।

৪. প্রতি চারটা পোমোডোরোর পরে আপনি একটা লম্বা ব্রেক নিতে পারেন যাতে পরের পোমোডোরো গুলোতে ঠিকভাবে পড়তে পারেন।

৫. সময়ের হিসেব রাখার জন্যে আপনি কিছু এপস ব্যবহার করতে পারেন।এপস গুলো নির্দিষ্ট সময় পর পর এলার্ম দেয়। প্রে-স্টোরে এরকম অনেক এপ পাবেন। যেমন: Pomodoro Smart Timer, Focus To-Do

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back To Top