চাকরি অনুসন্ধান: কিছু ভুল এবং সেগুলোর সমাধান !

বর্তমানে চাকরির বাজার অনেক প্রতিযোগিতামূলক। সামান্য একটু ভুলের জন্য পছন্দের চাকরি হাত ছাড়া হয়ে যেতে পারে। এখানে আমরা চাকরির জন্য সচরাচর ষে ভুল আমরা করে থাকি সেই বিষয়গুলো তুলে ধরব!

১। চাকরি খোঁজার সঠিক সময় কোনটি: অনেকেই যে ভুলটি করে থাকে তা হল চাকরি খোঁজা শুরু করে অনেক শেষে। ভাবে পড়াশুনা শেষ করে নেই এরপর শুরু করব চাকরি খোঁজা। এটি অনেক ভুল একটি পদক্ষেপ। আগে থেকেই চাকরি খোঁজা এবং চাকরির বাজার সম্পর্কে ধারনা রাখা উচিত।

২। যোগাযোগ বজায় রাখা: বন্ধু কিংবা সিনিয়রদের সাথে একটি ভাল যোগাযোগ তৈরি করতে অনেকেই পারেন না। এর ফলে চাকরির বাজারে অনেক ভাল অবস্থান তৈরি করা যায়না অনেক সময়। কারন স্বাভাবিকভাবেই চেনা পরিচিত লোকদের একটি বিশেষ নজরে দেখা হয়।

৩। অভিজ্ঞতা অর্জন: সত্যি বলতে অভিজ্ঞতার চেয়ে বড় কিছুই নেই চাকরির ক্ষেত্রে। যার অভিজ্ঞতা ঘত বড় তার জন্য সুযোগও তত বেশি। অনেকেই এই ব্যাপারটি বুঝেনা। দেখা যায় ছাত্রজীবনে হেলাফেলা করে সময় কাটায়। এই সময়ে কোন পার্ট টাইম চাকরি কিংবা কোর্স করা গেলে খুব ভাল একটি সুযোগ তৈরি হয় পরবর্তীতে।

৪। পরাশুনার বাইরে অন্যান্য বিষয়ে কাজ করা: অনেকেই আছে শুধু ক্লাস করে আর পড়ার বই পড়ে। কিন্তু এসবের বাইরে কাজের দক্ষতা বাড়ানোর কোন চেষ্টা করেনা। বিভিন্ন ক্লাব কিংবা সেমিনারে অংশগ্রহন করেনা। ঘার ফলে চাকরির বাজারে বেশ পিছিয়ে পড়ে।

। অনেক চাকরিতে আবেদন: অনেক বড় একটি ভুল পদক্ষেপ হল অনেকগুলো চাকরিতে আবেদন না করে বাছাই বাছাই করে অন্নসংখক চাকরির জন্য আবেদন করা। কিন্তু এমন করা উচিত না। আবেদন করতে থাকুন চাকরির জন্য। কারন জানেন না কোন চাকরি আপনার জন্য ঠিক।

। প্রফেশনাল হওয়া: আচরণকে আরও বেশি প্রফেশনাল করা উচিত। মনে রাখবেন অফিসে আপনাকে পেশাগত আচরন করতে হবে। অফিসে অন্যরকম আচরন করা শোভনীয় নয়। আপনি যত বেশি প্রফেশনাল হবেন আপনার জন্য তত বেশি সহজ হবে চাকরি পাওয়া।

। ক্যারিয়ার নির্বাচন: সঠিক ক্যারিয়ার নির্বাচন করাও একটি অন্যতম বড় কাজ। আপনি কি ধরনের ক্যারিয়ার গড়তে চান এবং আপনার লক্ষ্য কি তা ভাল করে বুঝে শুনে আপনাকে এগিয়ে যেতে হবে। নতুন কিছু হলেও আপনি শেখার জন্য আগ্রহী হলে সব কিছুই সহজে নিতে পারবেন।

| ক্যারিয়ার সেন্টারে যাওয়া: আমাদের অনেক শিক্ষাক্ষেত্রে ক্যারিয়ার নিয়ে সেমিনার হয়। সেখানে যেয়ে আলোচনা করে কিন্তু অনেক কিছু শেখা যায়। যা আমরা অনেকেই করিনা। সেখানে ক্যারিয়ার নিয়ে অনেক কাউন্সিলার বসেন যারা সঠিক রাস্তা দেখাতে সাহাধ্য করেন।

৯। নিজের অর্জনগুলোর ব্যাপারে খোঁজ রাখা: ছাত্রজীবনে অনেকে বিভিন্ন জিনিস অর্জন করে। যেমন কোন পুরস্কার বা খেতাব। যত ছোট হোক না কেন সেগুলো কিন্তু সিভিতে দিতে হবে। এসব ছোট ছোট ব্যাপার অনেক সময় খুব গুরুত্ব বহন করে চাকরির ক্ষেত্রে।

১০। দক্ষতা বৃদ্ধি: পরাশুনার পাশাপাশি চাকরির জন্য নিজের দক্ষতা বৃদ্ধির চেষ্টা অনেকেই করেনা। কিন্তু বাস্তবে কোম্পানি চায় এমন লোক যে কাজ শিখে আসবে। কোম্পানি চেষ্টা করে ঘেন বেশি প্রশিক্ষন দিতে না হয়। তাই চাকরিতে ঢুকার আগেই নিজের কাজের দক্ষতা বাড়াতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back To Top