বৃত্তি নিয়ে রাশিয়ায় উচ্চশিক্ষা

স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে ‘মৈত্রী ও সহযোগিতা’ চুক্তি হয়। ওই চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা অনার্স, মাস্টার্স ও পিএইচডি কোর্সে রাশিয়ায় পড়াশোনার সুযোগ পাচ্ছে। 

রাশিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞান, কলা ও বাণিজ্য শাখার সব বিষয়ে পড়া সম্ভব। রাশিয়ায় ব্যাচেলর ডিগ্রির মেয়াদ চার বছর, মাস্টার্স ডিগ্রির মেয়াদ দুই বছর, বিশেষায়িত ডিপ্লোমার মেয়াদ পাঁচ-ছয় বছর। তবে শুরুতে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে এক বছর রুশ ভাষা শিখতে হয়। 

ভর্তির তথ্য ও বৃত্তির ব্যবস্থা 

২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে রাশিয়া সরকার বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যাচেলর ও মাস্টার্স, পিএইচডি সহ ৬৫টি বৃত্তি ঘোষণা করেছে। যা শুধু মাত্র অনলাইনে আবেদন গ্রহণ করা হবে।   

ঢাকার রুশ বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি কেন্দ্রের শিক্ষা বিভাগ থেকে রবি থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ১০ থেকে ৫ টা পর্যন্ত এই আবেদনের সকল নিয়মাবলী সম্পর্কে জানা যাবে। অনলাইনে আবেদন করার ঠিকানা (https://future-in-russia.com)। 

আবেদনের সময়সীমা ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০। আবেদন সম্পূর্ণ হলে অনলাইন আবেদনের কপি সহ সকল শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র  ফটোকপি ও পাসপোর্ট কপি  রুশ বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি কেন্দ্রে জমা দিতে হবে। চলতি বছরের বৃত্তির বিষয়ে জানতে রুশ বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি কেন্দ্রে ৫ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৪টায় ‘রাশিয়ায় উচ্চশিক্ষা’ বিষয়ক সেমিনারে অংশ নিতে পারেন। 

ভর্তির সময় ও শিক্ষাবর্ষ 

রাশিয়ার শিক্ষাবর্ষ শুরু হয় সেপ্টেম্বরে। শিক্ষাবর্ষ ২টি সেমিস্টারে বিভক্ত। প্রথমটি সেপ্টেম্বরে এবং দ্বিতীয়টি ফেব্রুয়ারিতে। সেমিস্টার বিরতিতে রয়েছে ছুটি। 

জানুয়ারিতে দুই সপ্তাহ ও জুলাই-আগস্টে ছয় সপ্তাহ। এ সময় শিক্ষার্থীদের খন্ডকালীন চাকরির সুযোগও রয়েছে। 

চলতি বছর থেকে বিদেশি শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার পাশাপাশি সারাবছর খন্ডকালীন কাজের সুযোগ পাবেন। দেশটিতে এ সংক্রান্ত একটি আইন ইতোমধ্যে পাশ হয়েছে।
   
নিজ খরচে রাশিয়ায় শিক্ষা ব্যয় 

রাশিয়ায় পড়াশোনার খরচ অন্যান্য দেশের তুলনায় কম। বিজ্ঞান বিভাগের (স্নাতক) জন্য টিউশন ফি দুই হাজার পাচঁ শত থেকে আট হাজার ডলার, কলা বিভাগের (স্নাতক) জন্য তিন হাজার দুইশত থেকে পাঁচ হাজার ডলার এবং বাণিজ্য বিভাগের (স্নাতক) জন্য তিন হাজার থেকে ছয় হাজার ডলার।

রাজধানী মস্কোর বাইরে টিউশন ফি আরও কম। নিজ খরচে রাশিয়ার খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার জন্য গড় নম্বর থাকতে হবে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ। 

বিদেশি ছাত্রছাত্রীদের জন্য রয়েছে হোস্টেল সুবিধা। এটির জন্য ব্যয় হবে বছরে চারশত থেকে আড়াই হাজার ডলার। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back To Top