পরীক্ষার আগের রাতের করণীয়!

পরীক্ষার আগের রাত প্রতিটি ছাত্রছাত্রীর জন্য ষেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমন উৎকস্ঠার। ভয়, চিন্তা, অস্থিরতায় পার করে রাতটি। তাই অনেক সময় দেখায় ভাল প্রস্তুতি থাকা সত্তেও তারা পরীক্ষায় ভাল ফল করতে পারেনা।পরীক্ষার আগের রাতটি তাই খুব গুরুত্ব ও কিছু নিয়মের মধ্যে অতিবাহিত করা উচিত।

পরীক্ষার রুটিন চেক করুন:

অবশ্যই প্রথম কাজ হবে পরীক্ষার রুটিন অন্তত ২ বার চেক করা। কি পরীক্ষা, কখন পরীক্ষা, কোথায় পরীক্ষা এই বিষয়গুলো খুব ভালভাবে জেনে নিন, এবং প্রস্ততি শুরু করুন। কারন এই ভুলটা মারাত্মক ভুল। অনেক ভাল প্রস্তুতি থাকা সম্তেও শুধুমাত্র সামান্য ভুলের জন্য পরিস্থিতি প্রতিকূল রূপে বদলে যেতে পারে।

সঠিক খাদ্য গ্রহন:

এটা ভেবে অবাক হচ্ছেন পরীক্ষার বিষয়ের মধ্যে খাবারের কথা শুনে? অবাক হলেও জেনে রাখুন সঠিক খাদ্য গ্রহন খুবই জরুরি পরীক্ষার আগে। কারন আপনার মস্তিষ্ককে সঠিক খাবার না দিলে সে ঠিকমত কাজ করবেনা। তাই অবশ্যই ঠিকমত খাদ্য গ্রহন করুন। অনেকেই পরীক্ষার আগে উৎকণ্ঠায় ও চিন্তায় খেতে পারেনা।এই অভ্যাসটি পরিহার করুন। সুষম খাবার গ্রহন করুন। গবেষণায় দেখা গিয়েছে মিষ্টি জাতিয় খাবার মন্তিষ্কের জন্য খুব ভাল। কলা, চকলেট, মিষ্টি, বাদাম, মাছ ইত্যাদি খেতে পারলে খুব ভাল। তবে ঘুমানোর আগে চা কফি বাদ দেওয়া উত্তম।

পরিমিত ঘুমঃ

আমরা অনেকেই পরীক্ষার আগে রাত জাগার অভ্যাস করি। আবার অনেকেই পরীক্ষার আগের রাতে ঘুমাই না। এটা কিন্তু একবারেই ঠিক না। কারন মস্তিষ্কের পর্যাপ্ত বিশ্রাম না হলে সে কাজ করতে পারবেনা।এজন্য অনেকের পরীক্ষার সময় ঘুম আসে আবার অনেকেই কিছু সহজে মনে রাখতে পারেনা। তাই অবশ্যই পরীক্ষার আগের রাতে ঘুম খুব জরুরি। কমপক্ষে ৭ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত।

রিভিশন পেপার তৈরি করুনঃ

একটি কাগজে পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য যেমন অস্কের সুত্র, গুরুত্বপূর্ণ তারিখ, বিশিষ্ট মানুষদের নাম ও তাদের ছোট বিবরন, বৈজ্ঞানিক নাম, রাসায়নিক প্রয়োজনীয় নোট ইত্যাদি লিখে রাখুন।ছবি আঁকার মত কিছু থাকলে ছবি আঁকুন এবং ঠিকমত নামকরণ করুন। এই কাগজগুলো পরদিন সকাল বেলা মানে পরীক্ষার আগেও দেখে নিবেন। মোটকথা এই নোটে পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গুছিয়ে লিখবেন যেন পরদিন সকালে সহজে একবার চোখ বুলিয়ে নিতে পারেন।

সাজেশন পড়নঃ

কেউ ঘদি সারাবছর না পড়ে পরীক্ষার আগের রাতে পড়তে বসে তাহলে তার পক্ষে ভাল ফল করা সম্ভব নয়। তাই পরীক্ষার আগে যারা নিয়মিত পড়ে তাদের জন্য এখানে উল্লেখিত টিপস কাজে দিবে। আপনার সব পড়া শেষ হয়ে গেলে পরীক্ষার আগের রাতে সব কিছু না পড়ে সাজেশন অনুযায়ী পড়ুন। অধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলো পড়ুন। যেই প্রশ্ন অথবা অঙ্ক কঠিন লাগে সেটা কয়েকবার করুন এবং পড়ুন, চিত্র আঁকুন, অঙ্কের সূত্র দেখুন। দরকার হলে লিখুন এবং নিজেই নিজের ছোট ১টি পরীক্ষা নিন। তবে অবশ্যই খুব কঠিন কিছু একদম নতুন হলে পড়বেন না।

রিলাক্স থাকুনঃ

পরীক্ষার আগের রাতে খুব বেশি চাপ নিবেন না। রিলাক্স থাকুন। হাল্কা ব্যায়াম করুন, একটু হাঁটুন, খুব বেশি চাপ লাগলে একটু হান্কা বিরতি নিন; কোন অবস্থাতেই অতিরিক্ত চাপ নিবেন না। কারন বেশি চাপের ফলে আপনি যা পরেছেন তা ভুলে যেতে পারেন, এবং পরীক্ষার হলে এ তার কুপ্রভাব আপনার উপর পরবে।

প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র গুছিয়ে নিনঃ

রাতের বেলাতেই আপনি দরকারি জিনিস গুছিয়ে নিন। পর্যাপ্ত কলম, পেন্সিল, রাবার, ক্কেল, প্রবেশপত্র ব্যাগে গুছিয়ে রাখুন, এবং পরীক্ষার স্থান দেখে নিন। সকাল বেলায় তাড়াহুড়া ও উৎকস্ঠায় অনেকেই এসব ঠিকমত গুছাতে পারেনা। তাই রাতেই সব শেষ করুন। ঘড়িতে ঠিকমত ত্যালার্ম দিন। কাউকে বলেও রাখুন যেন আপনাকে নিদিষ্ট সময়ে ঘূম থেকে উঠিয়ে দেয়। পর্যাপ্ত সময় রাখবেন হাতে যেন সকাল এ উঠে রিভিশন দিতে পারেন নাস্তা করতে পারেন এবং সঠিক সময়ে পরীক্ষার হলে যেতে পারেন।

পরীক্ষার সময় খুব বেশি দুশ্চিন্তা না করে সঠিক নিয়মে কাজ করলে পরীক্ষায় কাঙ্খিত ফল পাওয়া যাবে। তবে তার আগে অবশ্যই পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে হবে ভালভাবে। তাহলে ভাল ফলাফল আশা করা যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back To Top