পড়তে ভালো লাগে না ? পড়াকে করুন মজার !

আমাদের ছাত্রজীবনে এমন কিছু বিষয় আমরা পাই যেটা পড়তে মোটেও ভাল লাগেনা। বোরিং লাগে, ঘুম আসে, আর ক্লাসে তো কথাই নেই। পাঁচ মিনিট পর পর ঘড়ি দেখি আর ভাবি কখন শেষ হবে! ক্লাস থেকে মুক্তি পেলেও পরীক্ষার আগে কিন্তু ঠিকই আমাদের কে সেসব বিষয় পরতেই হয়। সেই সময়টা আরও বেশি বিভীষিকাময়। কারন না পড়তে ভাল লাগে, আর না পড়া মনে থাকে। আমরা আজকে কিছু টিপস দিব, কিভাবে এসব বোরিং সাবজেক্টুকে মজার করে তুলতে পারি। যেন পরতেও তেমন বিরক্ত না লাগে আবার পড়া মনেও থাকে।

বিষয়টি সম্পর্কে জানুন কি পড়ছেন এবং কেন পড়ছেন

আমরা বেশিরভাগ সময়ে এই ভুলটিই করে থাকি। আমরা কি পড়ছি সেটা সম্পর্কে ভালভাবে না জেনে এবং সেটা আমাদের আসলে কি কাজে লাগবে এসব না বুঝেই আমরা পড়া শুরু করি। এবং গৎবাঁধা মুখস্ত করতে যাই। যেকোনো বিষয় পড়ার আগে জেনে নিন বিষয়টি আসলে কি নিয়ে এবং এটার ব্যবহার ও প্রয়োগ কোথায়। তাহলে বিষয়টা অনেকটাই আমাদের বোধগম্য হয়ে যাবে।

ভিন্ন বই ও পড়ার উৎস ঘাঁটুন

আপনার বিষয়ের উপর শুধু একটি বই না পরে আরও ভিন্ন কিছু বই পড়ুন। ইন্টারনেট ঘেটে ওই বিষয় নিয়ে একটু সময় ব্যয় করুন|ভিডিও দেখতে পারেন অথবা পড়তে পারেন। দেখবেন অনেকটা সহজ এবং মজার হয়ে উঠছে পড়াটা। একা না পড়ে কয়েকজন মিলে পড়ন কয়েকজন মিলে পড়ে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করলে অনেক নতুন তথ্য পাওয়া যায়। আবার ভিন্ন দৃষ্টিভঙিতেও বিষয়টি নজরে আসে।

নিজেকে পুরস্কার দিন

পুরস্কার পেতে সবার ভাল লাগে। তাইনা? বোরিং আর কঠিন বিষয় পড়ার ক্ষেত্রেও নিজেকে পুরস্কার দিন। হতে পারে সেটা ১টা অধ্যায় পড়ার পর। অথবা ৫টি প্রশ্ন পড়ার পর। নিজেকে চকলেট ক্যান্ডি দিতে পারেন, অথবা ১ কাপ চা। এভাবে পড়া অনেকটা এগিয়ে যায়।

খেলার মাধ্যমে পড়া

যেমন আপনি নিজেকে শিক্ষক হিসেবে কল্পনা করুন। আর ভাবুন কাউকে পড়াচ্ছেন আর বুঝাচ্ছেন। সেভাবে আপনি পড়ুন এবং কাউকে পড়া শোনান। খেলার ছলে খেলতে গিয়ে অনেকটা পড়া সহজ হয়ে যায় এবং মজাদার হয়। সামনে পুতুল অথবা খেলনাও রাখতে পারেন৷

বিরতি নিন

চা খান, একটু হাঁটাহাঁটি করুন। এরপর আবার পড়ুন। দেখবেন অনেকটা ভাল লাগবে পড়তে, ক্লান্তি লাগবেনা। নিজে নিজে গল্প, ছন্দ বানান।

কি পড়েছেন সেটা নিয়ে ভাবুন

আপনি যা পড়লেন সেটা নিয়ে ভাবুন। আপনি বাস্তব জীবনে এই পড়াটা কোথায় প্রয়োগ করবেন সেটা কল্পনা করুন। নিজেকে ওই জায়গায় ভাবুন আপনি হলে কি করতেন অথবা কি করবেন। কিভাবে করতেন অথবা কিভাবে করবেন। পড়া তো ভুলবেনই না সাথে আর বিরক্তও লাগবেনা।

উপরের কৌশলগুলো আশা করি আপনাদের কাজে দিবে। তবে আমাদের কে আগে মনে মনে দৃঢ়ভাবে ভাবতে হবে যে হাজার মানুষ পারলে আমি কেন পারবনা? আমি পারবই। আপনার মনের মধ্যে দৃঢ় ভাব আসলেই আপনি দেখবেন পড়তে আর কষ্ট হচ্ছেনা। তখন অনেক কঠিন বিষয় কেও আর ভয় পাবেন না৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back To Top