নিজের লক্ষ্যে যেভাবে দ্রুত পৌঁছাবেন

কোনো একটি লক্ষ্য ছাড়া কাউকে কোনোদিন কোনো সফলতা অর্জন করতে শুনেছেন? মনে তো হয় না।এই যে আপনি এত পড়াশোনা করছেন, এতে কি কোন লক্ষ্য বা পরিকল্লুনা নেই? এই যে আপনি এখন চাকরি করছেন, এতে কি কোন লক্ষ্যই নেই? অবশ্যই আছে। আপনি নিজেই জানেন যে আছে। লক্ষ্য ছাড়া মানুষ কোন কাজ করবে কেন?

এখন ধরুন, কোন বিষয় নিয়ে আপনার একটি লক্ষ্য আছে। কিন্তু সেই লক্ষ্যে পৌছনো কি খুব একটা সহজ কাজ? তা কিন্তু না। কারণ, কোন সফলতাই খুব সহজে ধরা দিতে চায়না। তাই আজ চলুন জেনে নেয়া যাক, কোনো লক্ষ্য অর্জন করতে হলে কি কি উপায় অবলম্বন করলে সেই লক্ষ্যে খুব দ্ূুত পৌছিনো যায়।

১। অজানা কে আলিঙ্গন করুন

যখন কোন অজানা বা আগে কখনো ঘটেনি এমন জিনিসের মুখোমুখি হন, তখন আপনি কি করেন? নিশ্চয়ই কিছু টা ভয় পেয়ে যান । অথবা ভেবে থাকেন যে এই উটকো ঝামেলা কেন আসলো! এর মানে হচ্ছে আপনি সেটাকে আপনার সহজ সুন্দর জীবনে সহ্য করতে পারছেন না। অথচ, আপনি কি জানেন শিশুরা খুব সহজেই এই কাজটা করে থাকে? তাদের নতুন কিছুকে গ্রহণ করার ক্ষমতা আমদের বড়দের তুলনায় অনেক বেশি । বেশ অবাক হলেন তাই না? বড়দের ক্ষমতা কম হওয়ার সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে, আমরা সব সময় নিরাপদে এবং কোন ঝঞ্কাট ছাড়া জীবনে চলতে চাই। কিন্তু মনে রাখবেন, এটিই হচ্ছে আপনার লক্ষ্য অর্জনের পথে প্রথম বাধা । তাই নতুন কে কখনো সমস্যা হিসেবে দেখবেন না, বরং চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করবেন।

২।স্বচ্ছ ধারনা তৈরি করুন

আপনি ঘখন কোন বড় কাজ হাতে নিবেন, তখন সেটা অর্জনের পথে বেশ কিছু সমস্যার সম্মুখীন হবেন, এটাই স্বাভাবিক | তাই প্রথমেই সেই কাজ সম্পর্কে একটি স্বচ্ছ ধারনা তৈরি করুন- কি করতে চান, কিভাবে করলে আপনি উপকৃত হবেন, প্রতিটি ধাপে কিভাবে এগোতে হবে ইত্যাদি| যখনই আপনি এভাবে ভাববেন, দেখবেন কিছুনা কিছু উপায় আপনি খুঁজে বের করেছেন । আর এটিই আপনকে আপনার কাজে অনুপ্রাণিত করবে।

৩। নতুন বিষয় নিয়ে জানার চেষ্টা করুন

জানার কি কোনো শেষ আছে বলুন? আপনি যে বিষয় নিয়ে এখন কাজ করছেন, তার প্রতিটি জিনিস সম্পর্কে আপনার পূর্বেকার ধারণা থাকবে এমনটি কিন্তু নয় । তাই যে সব জিনিস নতুন করে শেখার প্রয়োজন শিখে নিন। আপনার নিজের জন্যই তো শিখবেন, নিজেই নিজের উপকার করবেন। এতে করে আপনার লক্ষ্য অর্জনের পথে বেশ খানিক টা এগিয়েও থাকবেন।

৪। অন্যের কাছ থেকে শেখার চেষ্টা করুন

আপনি হয়তো নিজে নিজেই অনেক কিছু শেখার সক্ষমতা রাখেন। সকলে কিন্তু একরকম না। আবার আপনি নিজে নিজে শিখতে পারলেও হয়তো সময় দিতে হচ্ছে বেশি| কিন্তু দ্রুত লক্ষ্য অর্জন করতে হলে আপনাকে নতুন কিছু শিখতেও হবে খুব দ্রুত৷ তাই এমন কাউকে খুঁজে বের করুন, ধিনি এ নিদিষ্ট বিষয়ে অন্যদের তুলনায় বেশি জ্ঞান রাখে।

৫। প্রতিটি লক্ষ্যকে একটি নিদিষ্ট সময়রেখায় ফেলে দিন

লক্ষ্যে পৌঁছনোর জন্য ঘত রকম প্রস্ততি আছে, সব শেষ করে এবার মাঠে নেমে পড়ন। এবং এখন থেকেই নিজে কে বলুন যে, আমি আমার এই লক্ষ্যটা এই নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে সফলতার সাথে সম্পন্ন করবই। বড় লক্ষ্যের জন্য সময় কিছুটা বেশি নিন, আর ছোট লক্ষ্যের জন্য তুলনা মুলক কম সময় নিন।

৬। নিজের অগ্রগতি মূল্যায়ন করুন

ধরুন আপনি ঠিক করে রেখেছেন আপনি আপনার লক্ষ্যটি তিন মাসের মধ্যে সম্পন্ন করবেন। তাহলে আপনার উচিৎ প্রতি একমাস পর পর নিজের কাজের অগ্রগতির বিষয়ে সচেতন হওয়া। তাই নিজেকে মুল্যায়ন করুন, এই এক মাসে আপনি কতটুকু কাজ সম্পন্ন করতে পেরেছেন।

আপনি হয়তো একজন পরিপূর্ণ আত্মবিশ্বাসী মানুষ, কিন্তু মনে রাখবেন, মানুষ যখনই কোন সমস্যার সম্মুখীন হয় তখনই তার আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি দেখা দেয় । আর তখনই আপনি আপনার লক্ষ্য অর্জনের পথে পিছিয়ে যেতে পারেন । তাই এ বিষয় গুলোকে আপনি খুব সহজেই আপনার লক্ষ্যঅর্জনের মুল ভিত্তি হিসেবে ধরতে পারেন, যা আপনার লক্ষ্য অর্জনের পথ বেশ খানিকটা সহজ করে দিতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back To Top