আশা করা যায়, ভবিষ্যতে আরো চটজলদি, দেহের গঠনের প্রয়োজনমাফিক, জীবাণু–নির্দিষ্ট ওষুধ তৈরী করা সম্ভব হবে।
সম্প্রতি কোভিড–১৯–এর বিরুদ্ধে mRNA-ভিত্তিক টিকার সাফল্য থেকে বোঝা গেছে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং কতদূর যেতেপারে। কয়েক মাসের মধ্যে ৯৫ শতাংশ কার্যকরী সফল টিকা বেরিয়ে গেল, যেখানে প্রথাগত টিকা বানাতে এবং পরীক্ষাকরতে প্রায় এক দশক কাবার হয়ে যেত। এই টিকা সম্ভবই হতোনা যদি না শত্রু জীবাণুর জিনোম (genome) ছকে ফেলাযেত এবং বানানো যেত এমন ওষুধ যেটা সেই জিনোমটাকেই ব্যবহার করবে। এইরকম বার্তাবহ RNA (messenger RNA)-এর হাত ধরে এবং জিন–এ কাটাছেঁড়া (gene editing) করে আরো নানারকমের ওষুধ বাজারে আসতে চলেছে, যেগুলোহয়তো ওষুধের কারবারের চেহারাটাই বদলে দেবে। আশা করা যায়, ভবিষ্যতে আরো চটজলদি, দেহের গঠনেরপ্রয়োজনমাফিক, জীবাণু–নির্দিষ্ট ওষুধ তৈরি করা সম্ভব হবে।
ওষুধ তৈরি ছাড়াও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং–এর প্রভাব দেখা যাবে ক্লোনিং (cloning), চাষবাস বা জৈবপদার্থেরপরিবর্তনের (modification of bio-materials) মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে।